বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের সমস্যা: লক্ষণ, কারণ ও করণীয়
জন্মের পর থেকেই নবজাতক ও বড় শিশুদের পেটে গ্যাস জমা খুব সাধারণ ব্যাপার, আর বড়দের তুলনায় এর কারণও ভিন্ন। বুকের দুধ বা ফিডারের দুধ খাওয়ানোর সময় নিপল ঠিকমতো মুখে না বসা, অতিরিক্ত কান্না, কিংবা ফর্মুলা দুধের প্রোটিন বা ল্যাকটোস সহ্য
না হওয়ায় পেটে বাতাস ঢুকে গ্যাস তৈরি হয়।
এতে শিশুর অস্থিরতা, পেটে ব্যথা, এমনকি দুধ নাক–মুখ দিয়ে বের হওয়ার ঘটনাও দেখা যেতে পারে। বড় শিশুদের ক্ষেত্রে ভাজাপোড়া, চিপস, চকলেটের মতো খাবার গ্যাস বাড়ায়। তাই খাওয়ানোর সময় সঠিক পজিশন রাখা ও বারপিং করানো জরুরি, আর সমস্যা বারবার
হলে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়াই সবচেয়ে নিরাপদ।
আন্তর্জাতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে, শিশুদের প্রায় ২০% থেকে ৬০% পর্যন্ত বিভিন্ন ধরণের Functional Gastrointestinal Symptoms—যার মধ্যে পেট ফোলা, গ্যাস, কান্না এবং খাওয়ার পর অস্বস্তি সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। সঠিক
সময়ে সমস্যা চিহ্নিত করলে বেশিরভাগ শিশুই সহজ পরিচর্যায় দ্রুত স্বাভাবিক হয়ে যায়।
তবে যদি শিশুর জ্বর, বমি, ডায়রিয়া, দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা বা অস্বাভাবিক অস্থিরতার মতো লক্ষণ দেখা দেয়, তাহলে দেরি না করে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। ডাঃ সালাহ উদ্দিন মাহমুদ, শিশু
ও নবজাতক রোগের অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ হিসেবে, শিশুর সঠিক কারণ নির্ণয় করে নিরাপদ ও প্রয়োজন অনুযায়ী চিকিৎসা প্রদান করেন।
শিশু যখন দুধ খায় বা কান্না করে, অনেক সময় বাতাস পেটে চলে যায়। এই বাতাসই পরে গ্যাসের তৈরি করে। ছোট শিশুদের অন্ত্র পুরোপুরি পরিপক্ব না থাকায় একটু খাবার পরিবর্তন, দ্রুত দুধ পান, বা ভুল ফিডিং পদ্ধতিতেও গ্যাস হতে পারে।
এছাড়াও বাচ্চাদের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে খাবার ও হজম পদ্ধতির পরিবর্তনেও গ্যাস তৈরি হতে পারে।
বাচ্চাদের পেটে গ্যাসের সাধারণ লক্ষণ
অনেক অভিভাবক বুঝতে পারেন না—বাচ্চার কান্নাটা ক্ষুধার কারণে, নাকি গ্যাসের ব্যথা থেকে। শিশুর পেটে গ্যাস হলে সাধারণত কিছু স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়, যেমন:
পেট ফাঁপা: পেট স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ফুলে থাকে বা স্পর্শ করলে শক্ত লাগে।
অতিরিক্ত কান্না ও অস্থিরতা: খাওয়ার পর বা রাতে ব্যথার কারণে শিশুর কান্না বেড়ে যায় এবং শান্ত থাকতে পারে না।
বারবার গ্যাস নির্গমন: স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি ফার্ট করা, যা অস্বস্তি কমাতেও সাহায্য করে।
ঢেকুর তোলার প্রবণতা: খাওয়ানোর সময় বা পরে ঘন ঘন ঢেকুর উঠে, কারণ পেটে বাতাস আটকে থাকে।
খাওয়ার সময় ছটফট করা: দুধ খাওয়ার সময় শিশুর অস্বস্তি হয় এবং বারবার থেমে যায়।
ঘুমের সমস্যা: পেটের ব্যথায় ঘুমাতে দেরি হয় বা বারবার ঘুম ভেঙে যায়।
পা গুটিয়ে পেটের দিকে টেনে নেওয়া: ব্যথা কমাতে স্বাভাবিকভাবেই পা পেটের দিকে টানে।
মুখ দিয়ে দুধ উগরে দেওয়া বা হেঁচকি: হজমে সমস্যা বা অতিরিক্ত বাতাস ঢোকার কারণে এমনটি হতে পারে।
নবজাতকের পেটে গ্যাস হলে বোঝার উপায়
নবজাতকের গ্যাস হলে আচরণে কয়েকটি স্পষ্ট লক্ষণ দেখা যায়। সে হঠাৎ কান্না শুরু করতে পারে, পেট শক্ত বা ফোলা মনে হতে পারে, খাওয়ার সময় ছটফট করতে পারে এবং ঢেকুর তুলতে কষ্ট হতে পারে। এসব লক্ষণ একসাথে দেখা দিলে নবজাতকের পেটে গ্যাস জমেছে
বোঝা যায়।
হঠাৎ কান্না বা অস্থিরতা
পেট ফোলা বা শক্ত অনুভূত হওয়া
দুধ খাওয়ানোর সময় ছটফট করা
ঢেকুর তুলতে কষ্ট হওয়া
ঘন ঘন হেঁচকি উঠা
ঘুমে বারবার ব্যাঘাত
পা পেটের দিকে গুটিয়ে নেওয়া
বাচ্চাদের পেটে কেন গ্যাসের সমস্যা হয়? গ্যাস হওয়ার সাধারণ কারণ
শিশুদের হজমপ্রক্রিয়া পুরোপুরি পরিপক্ব না থাকায় খুব ছোট কারণেও পেটে বাতাস জমে গ্যাস তৈরি হয়। খাওয়ানোর সময় বাতাস চলে যাওয়া, দুধের নির্দিষ্ট উপাদান সহ্য না করা, বা খাবারের ধরন, সব মিলেই গ্যাসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশেষ করে নবজাতকদের
ক্ষেত্রে এটি আরও বেশি সাধারণ।
খাওয়ানোর সময় বাতাস পেটে ঢোকা: নিপল ঠিকমতো না বসা বা দ্রুত দুধ খাওয়া।
অতিরিক্ত কান্না: দীর্ঘক্ষণ কান্না করলে বাতাস সহজেই পেটে যায়।
ল্যাকটোস অসহিষ্ণুতা: দুধের ল্যাকটোস ভাঙতে সমস্যা হলে গ্যাস তৈরি হয়।
ফর্মুলা দুধের প্রোটিন সহ্য না হওয়া: অনেক শিশুর ক্ষেত্রে ফর্মুলা দুধ গ্যাস বা পেটব্যথা বাড়ায়।
ভাজাপোড়া, চিপস ও ফাস্টফুড: বড় শিশুদের পেটে গ্যাসের অন্যতম সাধারণ কারণ।
গ্যাস তৈরি করে এমন খাবার: ডাল, শিম, বাঁধাকপি, ফুলকপি ইত্যাদি।
অল্প পানি পান: বিশেষ করে যারা খাবারের পাশাপাশি পানি কম পান করে।
হজমপ্রক্রিয়ার অপরিপক্বতা: নবজাতক ও ছোট শিশুদের অন্ত্র পুরোপুরি বিকশিত না হওয়ায় গ্যাস দ্রুত জমে।
কোষ্ঠকাঠিন্য: পেট পরিষ্কার না হলে গ্যাস আটকে থাকতে পারে।
বাচ্চাদের গ্যাসের সমস্যায় করণীয়
বাচ্চার পেটে গ্যাস হলে কিছু সহজ পদক্ষেপেই তার অস্বস্তি অনেকটা কমানো যায়। খাওয়ানোর পদ্ধতি, শিশুর ভঙ্গি এবং খাওয়ার পর যত্ন—এই তিনটি বিষয় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।
সঠিকভাবে ঢেকুর তুলানো: প্রতিবার খাওয়ানোর পর ১০–১৫ মিনিট ধরে বাচ্চাকে কাঁধে তুলে হালকা চাপ দিয়ে ঢেকুর তোলানোর চেষ্টা করুন।
ফিডিং পজিশন ঠিক করুন: দুধ খাওয়ানোর সময় শিশুকে আধা-সোজা অবস্থায় রাখলে বাতাস কম ঢোকে এবং গ্যাস হওয়ার ঝুঁকিও কমে।
পেটের হালকা মালিশ: ঘড়ির কাঁটার দিক অনুযায়ী হালকা মালিশ শিশুর গ্যাস কমাতে সাহায্য করে।
“টামি টাইম” দেওয়া: দিনে ২–৩ বার 2–3 মিনিট করে পেটে শোয়ালে গ্যাস বের হতে সুবিধা হয় (শিশু জাগ্রত থাকতে হবে)।
মায়ের খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন: যদি মনে হয় কোনো খাবারে শিশুর গ্যাস বাড়ছে, তবে তা কিছুদিন বন্ধ রেখে লক্ষ করুন।
নতুন খাবার ধীরে ধীরে শুরু করা: একবারে একটিই খাবার শুরু করুন এবং বাচ্চার প্রতিক্রিয়া দেখুন।
গরম পানিতে তোয়ালে সেঁক: পেটের উপর হালকা গরম তোয়ালে দিয়ে সেঁক দিলে আরাম পেতে পারে।
বাচ্চাদের পেটে গ্যাস হলে কি খাওয়ানো উচিত?
বাচ্চাদের গ্যাস হলে হালকা, সহজপাচ্য খাবার দেওয়া সবচেয়ে ভালো। ভাত, সুজি, খিচুড়ি, নরম সেদ্ধ ডিম, কলা, আপেলের পিউরি বা পাকা পেঁপে হজমে সাহায্য করে। পানির পরিমাণ বয়স অনুযায়ী সামান্য বাড়ানো যায়। গ্যাস বাড়ায় এমন খাবার—ডাল, শিম,
বাঁধাকপি, ফুলকপি, চিপস ও ভাজাপোড়া—কিছুদিন এড়িয়ে চলাই ভালো।
হালকা ও সহজপাচ্য খাবার দিন
খিচুড়ি, ভাত–ডাল–ভাজি ছাড়া সাদাসিধে খাবার
সুজি বা নরম সেদ্ধ ডিম
পাকা কলা, আপেল পিউরি বা পেঁপে
বয়স অনুযায়ী যথেষ্ট পানি
গ্যাস বাড়ায় এমন খাবার (ডাল, শিম, বাঁধাকপি, চিপস) এড়িয়ে চলুন
কোন খাবারে গ্যাস বেশি হয়?
সব শিশুর শরীর একই খাবারে একই প্রতিক্রিয়া দেখায় না—এটি অভ্যাস ও হজম শক্তির উপর নির্ভর করে। তবে শিশুদের ক্ষেত্রে কিছু খাবার স্বাভাবিকভাবে গ্যাস তৈরি করে:
৬ মাসের বেশি শিশু:
ডাল
শিম
বাঁধাকপি
ফুলকপি
ডিম (কখনো কখনো)
১–৫ বছর বয়সী শিশু:
অতিরিক্ত দুধ
দই বা দুধজাত খাবার
চিপস
নুডলস
ফাস্টফুড
সফট ড্রিংকস
কখন চিকিৎসকের পরামর্শ নিবেন?
গ্যাস সাধারণত সামান্য যত্নে কমে যায়, কিন্তু কিছু পরিস্থিতিতে চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি। এসব অবস্থায় দ্রুত মূল্যায়ন শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ এবং প্রয়োজনীয় চিকিৎসা নিশ্চিত করে। গ্যাস সাধারণ সমস্যা হলেও কিছু লক্ষণ হলে দ্রুত শিশু
বিশেষজ্ঞের সাহায্য নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ:
পরামর্শ: বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিরাপদ সিদ্ধান্ত হলো: লক্ষণ যদি স্বাভাবিক না লাগে, তবে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। আপনার শিশুর সুস্থতা নিশ্চিত করতে আজই বিশেষজ্ঞ পরামর্শ নেওয়া সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পদক্ষেপ।
ডা. সালাহউদ্দিন মাহমুদ, শিশু-পরিপাক ও লিভার বিশেষজ্ঞ, বাচ্চাদের গ্যাস, পেটব্যথা, লিভার ও পাচনতন্ত্র সংক্রান্ত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা
দিয়ে আসছেন। সঠিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও অভিভাবকদের পরামর্শ দিয়ে তিনি শিশুর জন্য নিরাপদ চিকিৎসা নিশ্চিত করেন।
অধ্যাপক ডাঃ সালাহউদ্দিন মাহমুদ বাংলাদেশের
সেরা শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারদের মধ্যে অন্যতম। বর্তমানে তিনি ঢাকা শিশু (শিশু) হাসপাতালের পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, হেপাটোলজি ও পুষ্টি বিভাগের অধ্যাপক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
পেডিয়াট্রিক হেপাটোলজি, শিশু পুষ্টিজনিত সমস্যা এবং পেডিয়াট্রিক এন্ডোস্কোপিতে তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে। ২৩ বছরের অভিজ্ঞতায় তিনি এ পর্যন্ত
৫,০০,০০০+ শিশুর চিকিৎসা করেছেন এবং এন্ডোস্কোপির মাধ্যমে ৩০০+ বিদেশী বস্তু সফলভাবে অপসারণ করেছেন।
বাংলাদেশের শীর্ষ পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি বিশেষজ্ঞ
২৩+ বছরের অভিজ্ঞ শিশু ও নবজাতক রোগ বিশেষজ্ঞ
ঢাকা শিশু (শিশু) হাসপাতালের অধ্যাপক
পেডিয়াট্রিক গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি, হেপাটোলজি ও পুষ্টি বিভাগে দায়িত্ব পালন
৫,০০,০০০+ শিশুর চিকিৎসা অভিজ্ঞতা
৩০০+ সফল পেডিয়াট্রিক এন্ডোস্কোপি ও বিদেশী বস্তু অপসারণ
শিশু পুষ্টি, লিভার ও হজমজনিত রোগে বিশেষ দক্ষতা
অভিভাবক-বন্ধুত্বপূর্ণ ও রোগী-কেন্দ্রিক চিকিৎসা পদ্ধতি
বাচ্চাদের গ্যাস সমস্যা বুঝে সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নিন
শিশুদের পেটে গ্যাস হওয়া সাধারণ হলেও কখন কোন পরিস্থিতিতে গুরুত্ব দিতে হবে—তা জানা অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। সঠিক খাওয়ানোর পদ্ধতি, সহজপাচ্য খাবার এবং কিছু বাড়তি যত্ন বেশিরভাগ ক্ষেত্রে শিশুর অস্বস্তি কমিয়ে আনে।
তবে বারবার কান্না, খাওয়ায় অনীহা, বমি, জ্বর বা ঘুমে বড় ধরনের ব্যাঘাত হলে এটিকে সাধারণ গ্যাস ভেবে অবহেলা করা ঠিক নয়। এ সময় একজন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞের মূল্যায়ন আপনার শিশুর সুস্থতার জন্য সবচেয়ে নিরাপদ পদক্ষেপ।
আপনার শিশুর গ্যাস সমস্যা নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছেন? এখনই অধ্যাপক ডাঃ সালাহউদ্দিন মাহমুদের সঙ্গে
পরামর্শ করুন।
বাচ্চার পেট স্বাভাবিকের তুলনায় ফোলা বা শক্ত লাগতে পারে, খাওয়ার পর কান্না বাড়ে এবং পা পেটের দিকে টানে। ঢেকুর তুলতে কষ্ট বা ঘুমে ব্যাঘাতও গ্যাসের সাধারণ লক্ষণ।
৭ বছর বয়সী শিশুদের পেট ফোলার প্রধান কারণ হলো গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, গ্যাস বাড়ায় এমন খাবার খাওয়া বা হজমের সমস্যা। কখনো অতিরিক্ত সোডা, চিপস ও ফাস্টফুডও পেট ফোলার কারণ হতে পারে।
শিশুর ওষুধ বয়স ও উপসর্গ অনুযায়ী নির্ধারিত হয়, তাই নিজে থেকে ওষুধ না দিয়ে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া জরুরি। অনেক সময় শুধু ফিডিং পজিশন ঠিক করা, বারপিং বা সহজ যত্নেই গ্যাস কমে যায়।
গ্যাসের ব্যথা সাধারণত পেটের নিচের অংশে বা নাভির আশপাশে হয়। শিশুরা পেট শক্ত করে ফেলে, পা গুটিয়ে নেয় বা সেই অংশ স্পর্শ করলে অস্বস্তি প্রকাশ করে।
খাওয়ানোর সময় বাতাস ঢোকা, দীর্ঘক্ষণ কান্না, দুধের ল্যাকটোস বা ফর্মুলা সহ্য না করা, এবং গ্যাস সৃষ্টি করে এমন খাবার খাওয়া—এসবই গ্যাসের সাধারণ কারণ। নবজাতকের ক্ষেত্রে অপরিপক্ব হজমপ্রক্রিয়াও বড় কারণ।
হ্যাঁ, খাওয়ানোর সময় সঠিক পজিশন না হলে বা শিশুর মুখে নিপল ঠিকমতো না বসলে বাতাস পেটে ঢুকে গ্যাস হতে পারে। তবে সাধারণভাবে বুকের দুধ নিজে থেকে গ্যাস তৈরি করে না।
গ্যাস, কোষ্ঠকাঠিন্য, ডায়রিয়া, ল্যাকটোস অসহিষ্ণুতা, হজমের সমস্যা এবং খাবারে অ্যালার্জি—এগুলো বাচ্চাদের সাধারণ পেটের সমস্যা। বয়স অনুযায়ী লক্ষণ ভিন্ন হতে পারে।
শিশু হঠাৎ কান্না শুরু করে, পেটের দিকে হাত দেয় বা পা গুটিয়ে ফেলে। পেট স্পর্শ করলে ব্যথা অনুভব করতে পারে এবং খাওয়া ও ঘুমে অনীহা দেখা যায়।
পেটের ওপর ঘড়ির কাঁটার দিকে ধীরে ম্যাসাজ করলে আটকে থাকা বাতাস বের হতে সাহায্য করে। ম্যাসাজের সময় চাপ হালকা রাখাই নিরাপদ।
হ্যাঁ, পেট ফাঁপা বা ব্যথার কারণে অনেক শিশুই খেতে চায় না। গ্যাস কমে গেলে খাওয়ার রুচি সাধারণত স্বাভাবিক হয়।
কিছু শিশুর ক্ষেত্রে ফর্মুলা দুধের প্রোটিন বা মিশ্রণে থাকা উপাদান হজমে সমস্যা তৈরি করে, ফলে গ্যাস বাড়ে। এ ক্ষেত্রে শিশু বিশেষজ্ঞের পরামর্শে বিকল্প ফর্মুলা বেছে নেওয়া যেতে পারে।
সাধারণত ১–২ দিনে গ্যাস কমে যায়, তবে বারবার হলে খাওয়ানোর পদ্ধতি বা খাবারের সমস্যা থাকতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী হলে বিশেষজ্ঞ দেখানো উচিত।
Learn about common child digestive issues in Bangladesh, their early signs, and when to seek medical help. Get expert care from Dr. Salahuddin Mahmud. Book now!