শিশুর বমি: কারণ ও চিকিৎসা

শিশুর হঠাৎ বমি করা বেশিরভাগ সময় বাবা-মাকে ভয় পাইয়ে দেয়। বিশেষ করে ছোট শিশুদের ক্ষেত্রে এই সমস্যা বেশি হয়, কারণ তাদের পরিপাকতন্ত্র এখনও সংবেদনশীল এবং যেকোনো খাবার বা সংক্রমণে দ্রুত প্রতিক্রিয়া দেখায়। কখনো এটি সাধারণ হজমের সমস্যা, আবার কখনো বড় অসুখের লক্ষণ হতে পারে। তাই অভিভাবকদের জন্য জানা জরুরি—শিশুর বমি হলে কেন হয়, কী লক্ষণ দেখা দেয়, এবং কীভাবে চিকিৎসা করা উচিত।

অনেক সময় শিশুর বমিকে আমরা সাধারণ ঘটনা ভেবে এড়িয়ে যাই, কিন্তু এটিই হতে পারে ডিহাইড্রেশন, ইনফেকশন বা গুরুতর অসুখের প্রাথমিক সতর্ক সংকেত। গবেষণায় দেখা গেছে, বাংলাদেশের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিশু প্রতি বছর বমি ও ডায়রিয়ার কারণে হাসপাতালে ভর্তি হয়। তাই সময়মতো সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া শুধু শিশুর সুস্থতা নয়, তার জীবন বাঁচানোর জন্যও জরুরি। অভিভাবক যদি সচেতন থাকেন, তবে শিশুর এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণ করা অনেক সহজ হয়ে যায়।

ডাক্তারের পরামর্শ নিন: ০৯৬৬৬-৭৮৭৮০৬ শিশুর বমি: কারণ ও চিকিৎসা

শিশুর বমির প্রধান কারণসমূহ

শিশুর বমি হওয়ার পেছনে একাধিক কারণ থাকতে পারে। কখনো এটি সাধারণ হজমের গোলমাল, আবার কখনো শরীরের ভেতরে লুকানো গুরুতর অসুখের লক্ষণ। মূল কারণগুলো জানা থাকলে অভিভাবকরা দ্রুত ব্যবস্থা নিতে পারেন।

  1. পেটের ভাইরাস বা সংক্রমণ (গ্যাস্ট্রোএন্টারাইটিস): শিশুদের মধ্যে বমির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো পেটের ভাইরাস। এতে বমির পাশাপাশি ডায়রিয়া, জ্বর এবং পেটব্যথাও দেখা দেয়
  2. অতিরিক্ত খাওয়া বা হজমে সমস্যা: শিশুরা অনেক সময় একসাথে বেশি খেয়ে ফেলে, যা তাদের ছোট্ট পেট হজম করতে পারে না। ফলে খাওয়ার পরপরই বমি হতে পারে।
  3. খাদ্য অ্যালার্জি বা ফুড ইনটলারেন্স: কিছু শিশু নির্দিষ্ট খাবারে অ্যালার্জি বা অসহনশীলতায় ভোগে। যেমন দুধ, ডিম বা সয়াবিনজাত খাবার খেলে বমি হতে পারে।
  4. শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ: সর্দি, কাশি বা ফ্লুর সময়েও অনেক শিশুর বমি হয়, কারণ কাশির সঙ্গে খাবার বের হয়ে আসে।
  5. শরীরে পানিশূন্যতা বা ডিহাইড্রেশন: যখন শরীর খুব বেশি দুর্বল হয়ে পড়ে বা লবণ-পানির ঘাটতি হয়, তখন বমি আরও বেড়ে যেতে পারে।
  6. গুরুতর কারণ (কম হলেও সম্ভব)
    • অ্যাপেন্ডিসাইটিস
    • অন্ত্রের ব্লকেজ
    • মস্তিষ্কে সংক্রমণ বা আঘাত
    • মাথায় চাপ বা খিঁচুনি
শিশুর বমি নিয়ে উদ্বিগ্ন? অভিজ্ঞ শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলুন!

দেশের শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে এখনই জেনে নিন করণীয়।

পরামর্শ পেতে কল করুন: ০৯৬৬৬-৭৮৭৮০৬

শিশুর বমি হলে অভিবাবকদের করণীয়

বমি হলে প্রথমেই শিশুর শরীরকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। অভিভাবকেরা অনেক সময় আতঙ্কে না খাইয়ে রাখেন, কিন্তু এতে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ করণীয় উল্লেখ করা হলো:

  • ORS বা স্যালাইন দিন: বমির পরপরই অল্প অল্প করে ওরসালাইন খাওয়ান।
  • বারবার অল্প পরিমাণে খাবার দিন: হালকা তরল খাবার যেমন সুপ, ভাতের মাড়, লেবুর শরবত দিন।
  • সহজপাচ্য খাবার খাওয়ান: কলা, খিচুড়ি, আলু সেদ্ধ এসব খাবার হজমে সহজ এবং শিশুকে শক্তি দেয়।
  • ভারি বা মশলাদার খাবার এড়িয়ে চলুন: ভাজা, তেলযুক্ত ও মসলাযুক্ত খাবার বমি বাড়াতে পারে।
  • শিশুকে বিশ্রাম দিন: শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে, তাই ঘুম ও বিশ্রাম জরুরি।

কখন ডাক্তার দেখাবেন?

সব বমিই যে বাড়িতে সামলানো যাবে, তা নয়। কিছু লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত ডাক্তার দেখানো উচিত। এরকম কিছু বিপজ্জনক লক্ষণ উল্লেখ করছি:

  • শিশুর বমিতে রক্ত আসা
  • সবুজ বা কফের মতো বমি হওয়া
  • টানা ২৪ ঘণ্টার বেশি বমি চলা
  • শিশুর প্রস্রাব একেবারেই না হওয়া বা খুব কম হওয়া
  • জ্বর, তীব্র মাথাব্যথা, খিঁচুনি বা অস্বাভাবিক ক্লান্তি

একজন শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের পরামর্শ নিন

শিশুর বমি সাধারণ মনে হলেও, অনেক সময় এটি ভেতরের গুরুতর সমস্যার ইঙ্গিত হতে পারে। তাই অভিভাবকদের উচিত অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞের কাছে যাওয়া।

শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. সালাহউদ্দিন মাহমুদ

ডা. সালাহউদ্দিন মাহমুদ একজন অভিজ্ঞ শিশু বিশেষজ্ঞ, যিনি দীর্ঘদিন ধরে শিশুদের বমি, ডায়রিয়া, অপুষ্টি ও অন্যান্য জটিল সমস্যার চিকিৎসা করে আসছেন। তার পরামর্শে শিশুদের জন্য সঠিক পরীক্ষা, ওষুধ এবং সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করা হয়। শিশুর সুরক্ষায় দ্রুত যোগাযোগ করুন।

অ্যাপয়েন্টমেন্ট নিন: ০৯৬৬৬-৭৮৭৮০৬

শিশুর বমি সংক্রান্ত প্রশ্নোত্তর

শিশুর বমির সময় সাধারণত দেখা যায় পেটের অস্বস্তি বা মোচড়ানো অনুভব, বেশি চিৎকার করা বা কান্নাকোনা, খেতে ইচ্ছা না করা, তেমনি বমির পরে মুখ ও গল দিয়ে অস্বস্তি—এছাড়া জ্বর বা পানিশূন্যতার লক্ষণ থাকতে পারে যেমন মুখ শুকিয়ে যাওয়া বা প্রস্রাব কমে যাওয়া।

বমির পেছনে ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণ অন্যতম কারণ, তার সঙ্গে খাদ্যে অ্যালার্জি বা অপচয়, অতিরিক্ত খাবার, হঠাৎ খাবার পরিবর্তন, অথবা মোশন সিকনেসও ভূমিকা রাখতে পারে।

প্রথমে শিশুকে বিশ্রাম দিতে হবে, ছোট‑ছোট পরিমানে তরল পানীয় যেমন মায়ের দুধ বা ওআরএস দেওয়া যেতে পারে, হালকা, সহজপাচ্য খাবার শুরু করতে হবে, ভারি অথবা তেল‑ঝাল খাবার এড়িয়ে চলা ভালো।

যদি বমির সঙ্গে রক্ত বা সবুজ তরল বের হয়, বমি অনেকক্ষণ চলতে থাকে, শিশুর মুখ শুকিয়ে যায়, প্রস্রাব কমে যায় বা দুর্বলতা বেড়ে যায়, তাহলে দ্রুত শিশুরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।

পরিচ্ছন্ন খাবার ও পানির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে, খাবার ভালোভাবে সংরক্ষণ করতে হবে, শিশুর হাত ধোয়া অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে, নতুন খাবার ধীরে ধীরে দেওয়া উচিত এবং যাত্রাপথে বা গাড়িতে মোশন সিকনেস থাকে কি না সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

Call Receptionist
Call for Appointment
Popular Diagnostic Centre Ltd. (Shyamoli)
CTA Phone Icon 09666-787806
For More Information
CTA Phone Icon 01339364083
Make An Appoinment
Arrow