শিশুর টাইফয়েড ভ্যাকসিন: কতটুকু কার্যকরী ও নিরাপদ?

শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে তোলার জন্য ভ্যাকসিনের ভূমিকা অনস্বীকার্য। টাইফয়েড একটি মারাত্মক ব্যাকটেরিয়াজনিত রোগ, যা দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। বিশেষ করে শিশুদের মধ্যে এটি বেশি দেখা যায়, কারণ তাদের শরীর এখনো সংবেদনশীল। তাই টাইফয়েড ভ্যাকসিন শিশুদের সুরক্ষিত রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তবে অনেক অভিভাবকের মনে প্রশ্ন থাকে—এই ভ্যাকসিন আসলেই কতটা কার্যকরী এবং এটি কি নিরাপদ? সঠিক তথ্য জানা থাকলে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয় এবং শিশুদের অপ্রয়োজনীয় ঝুঁকি থেকেও বাঁচানো যায়।

শিশুর টাইফয়েড ভ্যাকসিন

আগামী ১২অক্টোবর ২০২৫ থেকে দেশব্যাপী শুরু হচ্ছে টাইফয়েড টিকাদান কর্মসূচি। এটাকে বলা হচ্ছে টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV)। আপনারা জেনে খুশি হবেন যে এই যে আমাদের দেশে ২০১৮ সালে আইসিডিডিআরবি এবং আমাদের টিকাদান কর্মসূচি ইপিআই এর যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৪২ হাজার শিশুকে ঢাকার মিরপুরে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এবং তাদেরমধ্যে দু বছর পরেই চেক করে দেখা গিয়েছে তাদের টাইফয়েডের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ ভাগ প্রোটেকশন তাদের পাওয়া গিয়েছে । কাজেই প্রত্যেকটা বাবা-মাকে অনুরোধ করব এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না।

শিশুর টাইফয়েড ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা নিয়ে কতিপয় প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন, শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. সালাহউদ্দিন মাহমুদ, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল, ঢাকা।

টাইফয়েড ভ্যাকসিন সম্পর্কিত প্রশ্নোত্তর

০১

বাচ্চাদের টাইফয়েড কেন হয়?

স্কুলের বাইরের খাবারগুলোর মধ্যে যেমন ফুচকা, ভেলপুরি, চটপটি, আচার, শরবত বা আইসক্রিম—এগুলোর টক-মিষ্টি ও ঠান্ডা খাবার বাচ্চাদের মধ্যে পানিবাহিত রোগের অন্যতম কারণ। বিশেষ করে টাইফয়েড ও হেপাটাইটিসের সংক্রমণ শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। আমরা প্রায়ই লক্ষ্য করি, স্কুলের ছুটির পর এবং স্কুলের পাশের ফুচকা, ভেলপুরি, ঝালমুড়ি বিক্রেতাদের ব্যস্ততা বেড়ে যায়। কিন্তু এই খাবারগুলো স্বাস্থ্যকর নয় এবং শিশুদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ। এধরনের খাবার গুলোতে টাইফয়েডের জিবানু থাকার সম্ভাবনা বেশি থাকে। দুষিত পানি এবং এধরনের বাইরের খাবারগুলোই টাইফয়েড এ আক্রন্ত হওয়ার প্রধান কারণ।

০২

পুরো পৃথিবীতে অথবা বাংলাদেশে কি পরিমান বাচ্চা বছরে টাইফয়েড রোগে আক্রান্ত হয় ? কোন কোন দেশ এই ভ্যাকসিন প্রযোগ করছে?

সারাবিশ্বে প্রতি বছর প্রায় ৯০ লক্ষ থেকে ১.১ কোটি শিশু টাইফয়েডে আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে প্রায় ১১০,০০০ থেকে ১,১৬,০০০ জনের মৃত্যু হয়। এই রোগটি বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া, আফ্রিকা, এবং দক্ষিণ আমেরিকার উন্নয়নশীল দেশগুলোতে বেশি দেখা যায়।

বাংলাদেশে টাইফয়েড একটি গুরুতর স্বাস্থ্য সমস্যা। প্রতি বছর প্রায় ৩ লক্ষ শিশু টাইফয়েড এ আক্রান্ত হয়, যার মধ্যে মৃত্যুবরণ করে ৬০০০ শিশু।

টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন (TCV) ইতিমধ্যে কয়েকটি দেশে জাতীয় টিকাদান কর্মসূচির (National Immunization Program) অংশ হিসেবে চালু হয়েছে। যেসব দেশে সরকারিভাবে এই ভ্যাকসিন দেওয়া হচ্ছে, তার মধ্যে প্রধানগুলো হলো:

  • পাকিস্তান: ২০১৯ সাল থেকে
  • নেপাল: ২০২২ সাল থেকে
  • ভারত: জাতীয় পর্যায়ে চালু হয়েছে
  • বাংলাদেশ: ২০২৫ সালের ১২ অক্টোবর থেকে দেশব্যাপী কর্মসূচি শুরু হচ্ছে
  • আফ্রিকার কয়েকটি দেশ: যেমন মালাউই এবং আরও কিছু স্যানিটারি কন্ডিশন খারাপ দেশ
০৩

এই রোগে কি কি জটিলতা হতে পারে বা টাইফয়েড রোগে ভয়াবহতা কি? এই ভ্যাকসিন কি নিতেই হবে?

টাইফয়েড ভয়াবহ রূপ নিতে পারে যদি আপনি চিকিৎসা করতে দেরি করেন। এই টাইফয়েড হলো নাড়িতে ঘা বা অন্ত্রে ঘা, যার কারনে আস্তে আস্তে নাড়ি ফুটো পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে, তখন সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে আবার লিভারে কিন্তু এটার প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন লিভারের এনজাইম বেড়ে যায় তখন আমরা এটাকে বলি হেপাটাইটিস। আবার অগ্নাশয়ে এটার প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন এটাকে বলা হয় প্যানক্রিয়াটাইটিস। এছাড়া গলব্লাডার বা পিত্তথলিতে প্রদাহ ছড়িয়ে যেতে পারে তখন এটাকে বলা হয় কোলেসিস্টাইটিস। এমনকি ফুসফুসে এটার প্রদাহ হতে পারে তখন এটা হতে পারে নিউমোনিয়া। আবার হার্টে এটার প্রদাহ ছড়িয়ে গিয়ে মায়োকারডাইটিস হতে পারে। সবচেয়ে ভয়াবহ যেটা ব্রেনে যদি প্রদাহ শুরু হয় হতে পারে মেনিনজাইটিস, এনক্যাফালাইটিস, এনক্যাফালোপ্যাথি এবং শেষ পর্যন্ত মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কাজেই কেন আপনি এত বড় রিস্ক নিয়ে থাকবেন?

০৪

আমার বাচ্চা তো বাইরের খাবার খায় না, তাও কেন টাইফয়েড হলো?

প্রশ্নটি শিশুর মায়েরা প্রায়ই জিজ্ঞেস করেন, ওর কেন টাইফয়েড? বাচ্চাকে তো বাইরের কিছু খেতে দেই না। তখন মাকে জিজ্ঞেস করি আপনার বাচ্চা যখন দাঁত ব্রাশ করছিল তখন দাঁত ব্রাশ করার পানিটা কি ফুটানো ছিল? কারণ দাঁত ব্রাশ করতে গেলে কিছু পানি গলার ভেতরে চলে যায়। আবার আমরা বড়রা যখন গোসল করি ১০ থেকে ২০ মিনিট তারপর আমারা চলে আসি কিন্তু পাঁচ বছর ছয় বছরের বাচ্চারা গোসলে ঢুকে আর বের হয় না মনে হয় যে ওখানে তার খেলা শুরু হলো, যেটা হয় ওখানেও কিন্তু পানিটা বিশুদ্ধ নয় । দেখা যায় অনেক পানি সে নিজের অজান্তেই খেয়ে ফেলে। এভাবেই বাচ্চারা সংক্রমিত হয়ে থাকে।

০৫

এই রোগ থেকে বাঁচার উপায় কি?

বাসায় রান্না করা খাবার খাবেন, পানি ফুটিয়ে খাবেন এবং বাসি খাবার খাবেন না। স্কুলগামী বাচ্চাদের বাসায় তৈরি খাবার টিফিনে দিয়ে দিন। বুঝিয়ে বলুন কোন অবস্থায় যেন বাইরের খাবার সে না খায়। সম্ভব হলে বাচ্চার স্কুলে পাশের যে বন্ধু বা বান্ধবীটা আছে তার জন্য টিফিন দিয়ে দিন। তারপরেও দুই বন্ধু মিলে যেন বাইরের খাবারটা না খায়।

০৬

বাজারে কি কি ধরণের টাইফয়েড ভ্যাকসিন আছে?

আগেও বাজারে একটি ভ্যাকসিন ছিল যেটা হচ্ছে ইনক্টিভেটেড পলিস্যাকারেড ( Inactivated Polysaccaride) ভ্যাকসিন। এটার সমস্যা হচ্ছে তিন বছর পর পর দেয়া লাগে। তিন বছরের বেশি এটার কার্যকারিতা ছিল না। টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন একবার নিলে পাঁচ থেকে সাত বছর, কোন কোন স্টাডিতে দেখা গেছে দশ বছর পর্যন্ত প্রটেকশন দিচ্ছে। এবং এই ভ্যাকসিন আগের ভ্যাকসিন থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রটেকশন দিবে।

০৭

টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন কতো ভাগ ও কতদিন পর্যন্ত প্রটেকশন দেয়?

এখন যে ভ্যাকসিনটা দেয়া হচ্ছে এটা অনেক ক্ষেত্রেই বলা হচ্ছে একবার দিলেই চলবে । এটা প্রায় সাত থেকে ১০ বছর পর্যন্ত প্রটেকশন দেয় এবং বাচ্চারা একটু বড় হলে তখন সে নিজেরাই বুঝতে পারে কোনটা দূষিত, কোনটা দূষিত নয়। আমাদের দেশে ২০১৮ সালে icddr,b এবং আমাদের টিকাদান কর্মসূচি EPI এর যৌথ উদ্যোগে প্রায় ৪২ হাজার শিশুকে ঢাকার মিরপুরে ভ্যাকসিন দেয়া হয়েছে এবং তাদেরমধ্যে দুই বছর পরেই পরিক্ষা করে দেখা গিয়েছে টাইফয়েডের বিরুদ্ধে প্রায় ৮৫ ভাগ প্রোটেকশন পাওয়া গিয়েছে।

০৮

কিভাবে এই টাইফয়েড কনজুগেইট ভ্যাকসিন নেয়া যাবে?

এই ভ্যাকসিন বেসরকারি ভাবে আমাদের দেশে পাওয়া যায় না। সরকারিভাবেই সরকার এটার ব্যবস্থা করেছে। তাই অবশ্যই রেজিস্ট্রেশন করুন এবং খুব সহজে অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করা যায়। তবে রেজিস্ট্রেশন করতে বাচ্চার জন্ম নিবন্ধন নম্বর লাগবে। বাচ্চা কোন স্কুলে, কোন ক্লাসে পড়ালেখা করে সেটা লাগবে। রেজিস্ট্রেশন করে রেজিস্ট্রেশনের কার্ডটি ডাউনলোড করুন এবং ১২ অক্টোবর এর জন্য তৈরি থাকুন। আপনাকে সময় জানিয়ে দেওয়া হবে এবং সেই সময়ে গিয়ে ভ্যাকসিন দিন। যদি আপনার বাচ্চা অসুস্থ থাকে অথবা আপনি ব্যস্ততার জন্য ভ্যাকসিন সেদিন নাও নিতে পারেন অসুবিধা নেই, পরবর্তী্তে বাচ্চা সুস্থ হলে অথবা এই ১২ই অক্টোবর ২০২৫ থেকে যে ১৮ দিন ভ্যাকসিন দেওয়া হবে তার যেকোন একদিন আপনার স্কুলে বা যেখানে টিকাদান কর্মসূচি চলছে সেখানে গিয়ে আপনি টিকা দিতে পারবেন।

০৯

এই টিকা নেয়ার পর কি কি জটিলতা বা পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হতে পারে?

আসলে কোন একটা ভ্যাকসিন যখন ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন (WHO) এপ্রুভ করে তখন কিন্তু বিভিন্ন লেভেলে এটা নিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং বিভিন্ন লেভেলে এটা প্রয়োগ করা হয়। প্রয়োগ করে দেখা হয় প্রথম স্তর, দ্বিতীয় স্তর, তৃতীয় স্তরে যখন দেখা যায় পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া একদম নাই বললেই চলে। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন বা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা থেকে তখন ভ্যাকসিনটাকে প্রয়োগের জন্য এপ্রুভ করা হয় । তবে, সাধারণত ভ্যাকসিন প্রয়োগে যেসব পার্শ্ব প্রতিক্রিয্যোগেদেখা দেয় এটিও তার ব্যাতিক্রম নয় । তবে সেটা খুবই কম। যেমনঃ যে দেহের যে স্থানে প্রয়োগ করবে সেখানে সামান্য একটু ব্যথা হতে পারে। একটু ব্যথা হলে একটু প্যারাসিটামল সিরাপ বয়স হিসেবে চিকিৎসকের পরামর্শ মত খেতে পারবে। যে স্থানে প্রয়োগ করবে সেই স্থান একটু লাল হতে পারে। এছাড়া অন্য কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হওয়ার সম্ভাবনা নেই।

১০

একবার এই ভ্যাকসিন নিলে কি আবার নিতে হবে?

টাইফয়েড কনজুগেট ভ্যাকসিন একবার নিলে পাঁচ থেকে সাত বছর, কোন কোন স্টাডিতে দেখা গেছে ১০ বছর পর্যন্ত প্রটেকশন দেয়। এবং এই ভ্যাকসিনটার সুবিধায় আগের ভ্যাকসিন থেকে দীর্ঘমেয়াদী প্রটেকশন দিবে।

১১

অনেকেরই প্রশ্ন, আমার বাচ্চার তো আগে টাইফয়েড হয়েছে, সে কি এই সরকারি ভ্যাকসিন নিবে?

অবশ্যই নিতে পারবে কোন অসুবিধা নেই। কারণ আমরা জানি ওটা তিন বছর মেয়াদি। কাজেই এবং ওই আগের ভ্যাকসিনটা নেওয়ার এক মাসের গ্যাপ দিয়ে যেকোনো সময় ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।

১২

অনেক বাচ্চাই তো আগে অন্য জাতের Inactivated Polysaccaride টাইফয়েড ভ্যাকসিন নিয়েছে, সে কি এই ভ্যাকসিন নিবে?

অবশ্যই নিতে পারবে কারণ আগের ভ্যাকসিনটি ৩ বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারতো। তাই আগের ভ্যাকসিন নেওয়ার এক মাসের গ্যাপ দিয়ে যেকোনো সময় ভ্যাকসিন নেওয়া যাবে।

১৩

অনেক কৌতূহলি বাচ্চার প্রশ্ন, এই টিকা নিলে এখন থেকে বাইরের সকল খাবার খাওয়া যাবে?

ভ্যাকসিন মূলত একটি প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা এবং এটা পাঁচ থেকে সাত বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিবে । এমনকি (দশ) বছর পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে। তাই বলে কি আপনি সব এই ভ্যাকসিনটা নিয়েই বাইরের খাবার খাওয়া শুরু করবেন? প্রত্যেকটা ভ্যাকসিনের কার্যকারিতা কিন্তু ৮০ থেকে ৮৫ ভাগ। এটা নিয়ে যে স্টাডি হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে ৮৫ ভাগ দুই বছর পর্যন্ত প্রোডেকশন দেয়। বাকি যে ১৫% রয়ে গেল এই কারণে যেটা বলা হয়েছে আপনাকে কিন্তু নিয়ম মানতে হবে সবার আগে ভ্যাকসিন পরে। আপনি বাইরের খাবার খাবেন না দূষিত খাবার খাবেন না। আপনার পানি ফুটিয়ে খেতে হবে । কাজেই বাইরের খাবার জাঙ্ক ফুড এগুলো শরীরের জন্য ভালো নয় , কাজেই সবদিক চিন্তা করে কিন্তু আপনাকে হাইজিন মেইনটেন করতে হবে। বাথরুম ব্যবহার করার পরে হাত ভালো করে ধুতে হবে। সবজি রান্না করার সময় হাত ভালো করে ধুয়ে তারপর রান্না করতে হবে। এটা কোনভাবেই কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।

১৪

কিভাবে রেজিস্ট্রেশন করবেন ?

খুব সহজ, সবার হাতে এখন মোবাইল ফোন রয়েছে। এখন বড় মানুষের থেকে বাচ্চারা খুবই স্মার্ট খুবই এক্সপার্ট। টাইফয়েড ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। রেজিস্ট্রেশনের জন্য কিছু তথ্য দিতে হবে যেমন: জন্মনিবন্ধন নাম্বার, জন্ম তারিখ, কোন স্কুলে কোন ক্লাসে পড়ালেখা করছে , বিস্তারিত দিতে হবে । টিকা কার্ডটি ডাউনলোড করতে হবে কারণ টিকা দেওয়ার সময় কার্ডটি লাগবে। রেজিস্ট্রেশন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারছে না আর টিকা নেওয়ার পরেও টিকা কমপ্লিশন সার্টিফিকেট ডাউনলোড করে নিতে হবে । তাই রেজিস্ট্রেশন করে ফেলতে হবে এবং এখন রেজিস্ট্রেশনের খুব হাই টাইম যাচ্ছে এখন কারণ অক্টোবরের ১২ তারিখ খুব বেশিদিন দূরে নয় । প্রায় পাঁচ কোটি শিশু এই ভ্যাকসিনটা পাবে বলে সরকার আশা করছে।

টাইফয়েড ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশনের জন্য vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে গিয়ে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।
১৫

যদি কোন কারণে কেউ ভ্যাকসিন মিস করে ?

এখন পর্যন্ত পাওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী প্রথম ১০ দিন স্কুল পড়ুয়া বাচ্চাদের টিকা দেয়া হবে। এবং বাকি ৮ দিন যারা এখনো স্কুলে এখনো যাছে না তারা টিকা পাবে তাদের বাসার নিকটবর্তী স্কুলে। বাচ্চার জ্বর থাকলে অবশ্যই টিকা দেয়া যাবে না সেক্ষেত্রে জ্বরটা ভালো হলে যদি তার ডেট মধ্যে সে নাও যেতে পারে এই ১৮ দিনের মধ্যে গেলেই তাকে টিকা দিয়ে দেওয়া হবে । যদি কোন কারণে কেউ রেজিস্ট্রেশন মিস করে ফেলে তাহলে ১৮ দিন পরে অবশ্যই সরকারের পক্ষ্য থেকে একটি নির্দেশনা আসবে।

যারা মিস করে ফেলবেন তারা আসলে অনেক বড় কিছু মিস করে ফেলবেন। যেহেতু এখন পর্যন্ত প্রাইভেটলি আমাদের দেশে ভ্যাক্সিনেশনটা এভেলেবেল নেই। তাই এই সুযোগটি কোনভাবে মিস করা যাবে না।

অধ্যাপক ডাঃ সালাহউদ্দিন মাহমুদ

শিশু পুষ্টি, লিভার ও পরিপাকতন্ত্র বিভাগ
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট

Latest media coverage

টাইফয়েড টিকাদান ক্যাম্পেইন
শিশুদের টাইফয়েড প্রতিরোধ
Call Receptionist
Call for Appointment
Popular Diagnostic Centre Ltd. (Shyamoli)
CTA Phone Icon 09666-787806
For More Information
CTA Phone Icon 01339364083
Make An Appoinment
Arrow